,

আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ৩-০ গোলে ক্রোয়েশিয়ার জয়

সময় ডেস্ক ॥ এনজো পেরেজের গোল মিস করার খেসারতটা দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই দিতে হলো আর্জেন্টিনার। ম্যাচের ৫৩ মিনিটে আন্দ্রে রেবিকের শটে এবং আর্জেন্টিনা গোলরক্ষক ক্যবায়েরোর ভুলে গোল খেয়ে বসল আর্জেন্টিনা। এরপর ম্যাচের ৮০ মিনিটের মাথায় গোল করে দলকে ২-০ গোলের লিড এনে দেন ক্রোয়েশিয়ার গোল্ডেন জেনেরেশনের বড় তারকা লুকা মডরিচ। ম্যাচের ৯০ মিনিটে ব্যবধান ৩-০ করেন রাকটিক। প্রথম ম্যাচে জয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ৩-০ গোলের জয় নিশ্চিত করে ক্রোয়েশিয়া। ওই জয়ে নিশ্চিত করে নিজেদের দ্বিতীয় রাউন্ড। দুই ম্যাচ জিতেই ক্রোয়েশিয়ার পয়েন্ট হয়ে গেছে ৬। আর্জেন্টিনা নিজেদের শেষ ম্যাচে নাইজেরিয়াকে হারালে ৪ পয়েন্ট হবে। সেক্ষেত্রে আইসল্যান্ড যদি আবার নাইজেরিয়া এবং ক্রোয়েশিয়া ম্যাচের একটিতে জিততে পারে তবে তাদের পয়েন্ট হবে ৪। দুই ম্যাচেই জিতলে ৭ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপে এগিয়ে যাবে তারাই। তবে ক্রোয়েশিয়ার বেশি পয়েন্ট দুটি দলের হওয়ার সুযোগ নেই। সে হিসেবে দ্বিতীয় রাউন্ডে চলে গেল দলটি। আর্জেন্টিনা নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে এসেই বুঝল রোমারিওকে হারিয়ে তাদের কী ক্ষতিটাই না হয়েছে। এর আগে ডি মারিয়ার বদলে শুরুর একাদশে নামানো হয় এনজো পেরেজকে। আইসল্যান্ড ম্যাচে ডি মারিয়া গোলের যে সুযোগগুলো মিস করেছিলেন পেরেজ তা কাজে লাগাবেন। এই ভেবেই হয়তো কোচ হোর্হে সাম্পাওলি তাকে দলে ভেড়ান। তবে গোল মিসের চিত্রটা বদলায়নি। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ৩০ মিনিটে ফাঁকা গোল পোস্ট পেয়েও গোলে শট নিতে পারেননি পেরেজ। তার গোল মিসের সুবাদে প্রথমার্ধে গোল শুন্য সমতা নিয়ে শেষ করে আর্জেন্টিনা। বল দখলের হিসেবে আর্জেন্টিনা এ ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ার থেকে এগিয়ে ছিল। কিন্তু গোলের সুযোগ খুব বেশি তৈরি করতে পারেনি কোন দলই। দু’দলই ছোট পাসের খেলায় অভ্যস্ত। তাই গতির খেলা দেখা যায়নি এ ম্যাচে। প্রথমার্ধের ১০ মিনিটের মাথায় প্রথম আক্রমণ করেন রাকিটিচ। ১২ মিনিটের মাথায় মেসি বল নিয়ে ক্রোয়েশিয়া বক্সের দিকে ঢুকে যায়। কিন্তু আক্রমণটা শেষ করতে পারেননি তিনি। ৩৩ মিনিটের মাথায় গোল করে এগিয়ে যাওয়ার ভালো এক সুযোগ মিস করেন মানজুকিচ। আর আর্জেন্টিনার ফরোয়ার্ড পেরেজ তার আগে ৩০ মিনিটে যে সুযোগ মিস করেছেন তার কোন জবাব নেই।


     এই বিভাগের আরো খবর